Cooking program,Btv

My Channel https://www.youtube.com/watch?v=l99K_x3KKDYছোটবেলায় একটা স্বপ্ন ছিল যে, আমার নিজের একটা কিচেন থাকবে। যেটা আমিই ডিজাইন করবো। ডাইনিংটা হবে রেস্টুরেন্টের মত, থাকবে সব ধরনের রান্নার ব্যবস্থা।
আজকে বাংলাদেশি ফুড, কালকে ইন্ডিয়ান ফুড, পরশু এরাবিয়ান ফুড, তার পরদিন ইংলিশ ফুড। আঞ্চলিক রান্না, পিঠা, কেক পেস্ট্রি এইভাবে চলতেই থাকবে।
ইচ্ছা হওয়া মাত্রই সেটা রান্না করে টেবিলে হাজির করে ফেলবো। কিচেন থেকে বের হলেই থাকতে হবে একটা বাজার। যখন ইচ্ছা হবে বাজারে থেকে ফ্রেশ সবকিছু এনে সাথে সাথে রান্না করে ফেলবো।
এত বছর পর চিন্তা করে দেখলাম, আমার সেই স্বপ আসলে অনেকটাই পূরণ করেছি। “সাইদাস কিচেন” এখন একটা সম্পূর্ণ কিচেন স্টুডিও। যেখানে আছে কুকিং ক্লাস, কুকিং শো, ফুড স্টাইলিং ও ফুড ফটোগ্রাফির জন্য আলাদা সব আয়োজন।
সেই সাথে NHTTI ও BTEB ২ টা গভমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকেই আমি নিয়েছি সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ। এছাড়া করেছি প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল থেকে ইন্টার্নশিপ ট্রেনিং। নিজেই করেছি সবকিছুর ডিজাইন। নিচে না হলেও কাছাকাছি একটা বাজারও আছে
ইন্টেরিয়রের কাজ ভালো লাগে সবসময়ই। এ পর্যন্ত করেছি বেশ কিছু কাজ। কিন্তু নিজের কিচেন স্টুডিও করতে গিয়ে যে পরিমাণ মস্তিষ্কের কাজ ও শারীরিক কাজ করতে হয়েছে সেটা সারাজীবনেও করিনি।
দিন নাই রাত নাই সারাদিন শুধু ফিতা নিয়ে ঘুরেছি,আর মেপেছি কোথায় কত ইঞ্চি জায়গা আছে। প্রতিদিন ফার্নিচার ঠেলতে ঠেলতে নিয়েছি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। ওয়ালে ১ ফিট জায়গাও খালি নাই যেখানে আমি নিজে ড্রিল করিনি।
কিছুদিন পর পর বদলে ফেলেছি সব রং। তবে সবার আগে গুরুত্ব দিয়েছি নিজের কাজের সুবিধা ও আরাম। তো চলুন তাহলে দেখি আমার কিচেন ষ্টূডিও ।
মেকআপ ও শাড়ি ডিজাইন করেছি আমি। আধাঘণ্টায় রেসিপি রেডি করে, নিজে রেডি হয়ে,বাকি আধাঘণ্টায় স্টুডিওতে গিয়ে,ক্যামেরার সামনে রান্না করে, বাসায় চলে এসেছি, এটা কিভাবে সম্ভব, বিশ্বাসই হচ্ছে না আমার রেডি হতে বেশি সময় লাগেনা। রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম ছিল না, শুটিংয়ে কোন ওয়েটিং ছিলনা, রান্না করতেও সময় লাগেনি। প্রতিটা দিন যদি এভাবে পার করতে পারতাম
নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আমি থাকবো বাংলাভিশনের পর্দায় আগামীকাল শুক্রবার রাত ৮ টা ১৫ মিনিটে ” আমাদের রান্নাঘরে”
Sharee design & Makeup by me 😊 #চায়েরচুমুকে #Atnbangla
My Cooking show